Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

পুজোর চার দিন নয় ! কেবল মাত্র একাদশীর দিনই আনন্দে মেতে ওঠেন যে গ্রামের মানুষেরা

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

news bazar24: সেই যুগ যুগ থেকে পুজোয় সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও একাদশীর দিন তিনটি পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন আদিবাসীরা। গ্রামের নাম বড়জোল। রামপুরহাট শহর থেকে মাত্র আট কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ঝাড়খণ্ড সীমান্তের এই গ্রামে। জঙ্গলের মধ্যে বসে মেলা। রাত পর্যন্ত চলে আদিবাসী নৃত্য। বর্তমানে এই মেলাই মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে। 

১১০ বছর আগে বড়জোল গ্রামের মাঝে দুর্গা পুজো শুরু করেন গ্রামের কয়েকজন মানুষ। বড়জোল গ্রামের আশপাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি আদিবাসী গ্রাম। তারা পুজোয় সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও একাদশীর দিন প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় আদিবাসী এলাকা বেলপাহাড়ি সংলগ্ন নাককাটি বনের ভেতর দিয়ে । 

আর সেখানেই মাচানের উপর প্রতিমা রেখে শুরু হয় আদিবাসী নৃত্য।এখন এই মাচান তৈরি করেন গ্রামের লোকারাই।  প্রথম দিকে  আদিবাসীদের বিনোদনের জন্যই পুজোর শুরুর সময় প্রতিমাকে  কয়েক ঘণ্টার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই আদিবাসী এলাকায়। আর সেই রীতি আজও চলে আসছে।

 বর্তমানে বড়জোলে আরও দুই-একটি পুজো বেড়েছে। বেলপাহাড়ি গ্রামেও একটি পুজো শুরু হয়েছে। ফলে এখন তিনটি প্রতিমাকে ঘিরে আনন্দে মাতেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। বিকেলে প্রতিমা মন্দির থেকে বের করে গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলে। সেখানে আদিবাসীরা মা দুর্গাকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠেন।

পরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পুরুষ মহিলারা নাঁচ পরিবেশন করেন। বিকেল থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য জঙ্গলের মধ্যে মেলা বসে। মেলায় মিষ্টি, পাপড়ের পাশাপাশি চুরি মালারও দোকান বসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবেনা বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির কর্তারা।  রাত ৯টার পর প্রতিমা গ্রামে ফিরিয়ে এনে কুন্তিপুকুরে নিরঞ্জন করা হয়।লক্ষ্মীরাম হেমব্রম, দীনেশ টুডু, মলয় হাঁসদারা বলেন, ‘ পুজোর চার দিন নয়, শুধু এই দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি মাসের পর মাস ।

 

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

সম্পর্কিত খবর