ওই ও পাড়ার খুন্তি পিসি, রান্না করে খাসা,
হাঁড়ি, কড়াই, থালা, বাটি, রান্নাঘরে ঠাসা।
নতুন কিছু রান্না পিসি, যেই না কোথাও শেখে,
চটর-পটর ডায়েরি এনে, তড়বড়িয়ে লেখে।”—
এই কবিতার খুন্তি পিসির মতো আমরাও রান্নার ভীষণ শখ ! কোথাও কোন নতুন রান্নার সন্ধান পেলে হল ছটপট তা রাঁধতে বসে যাই আমরা। আর এরপর সেই রান্নার স্বাদ যদি সবার ভাল লেগে যায় তবে তো ব্যাপার ই আলাদা মনের ভেতর খুশির ফোয়ারা বয়ে যায়। পুজো আসতে হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। পুজোর সময় ঠাকুর দেখা, সাজগোজ এসবের সঙ্গে বাঙালি কিন্তু পেট পুজা করতে ভুলেনা । নিত্য নতুন পদ সব থাকা চাই পাতে । পুজোর চারদিন বাইরে খাওয়া-দাওয়া এর সঙ্গে বাড়িতেও এ কদিন খাওয়াটা জমিয়ে হতেই হবে। তাই এবার পুজোর মধ্যে কাতলা মাছের সাবেকী রান্না করে দেখুন। পুজো তো সাবেকীই, তাই রান্নাটা সাবেকী হলে মন্দ হবে না।
তবে বানানোর সহজ পধতি টা একবার দেখেই নি
কীভাবে বানাবেন সাবেকী নারকেল কাতলা:?
কাতলা মাছের পিস নুন হলুদ দিয়ে হালকা ভেজে তুলে রাখুন। কড়াইতে সর্ষের তেল দিয়ে হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করে পেঁয়াজ দিন।একটা ঢাকনা দিয়ে মিনিট পাঁচেক ঢেকে রাখুন পেঁয়াজ লাল হয়ে আসা পর্যন্ত । লালচে বাদামি হয়ে এলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে কাশ্মীরি লঙ্কা ও নুন দিয়ে কষতে থাকুন। দেখবেন কিছুক্ষণ পর মশলা থেকে তেল বের হয়ে আসছে, নারকেল বাটা দিয়ে কষান। তারপর টমেটো বাটা সঙ্গে চেরা কাঁচালঙ্কা ও অল্প জল দিয়ে নাড়ুন।ভালভাবে মশলা টা কষে নিয়ে এবার এতে মাছ গুলি ছেড়ে দিয়ে ঢেকে রাখুন। ৬ থেকে ৭ মিনিট রাখুন। তারপর নামিয়ে নিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে খান। পুজোর যেকোনও একটা দুপুর জমিয়ে দিন সাবেকি নারকেল কাতলা রেঁধে।